For Advertisement
হাসপাতালে বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলা

ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় পাঁচ শতাধিক নিহত ও আরও কয়েকশ লোক আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া কোনো কিছুতেই নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ন্যায্যতা পেতে পারে না। ইরান গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও অবরোধ অবসানে প্রয়োজনীয় এবং জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলার পর সেখানে আগুন ধরে যায়; মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে ইসরাইলি হামলা চলতে থাকলে প্রতিরোধ বাহিনীকে কেউ থামাতে পারবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। অবিলম্বে ইসরাইলি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, যদি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর অপরাধ অব্যাহত থাকে, তা হলে মুসলিমদেরও প্রতিরোধ বাহিনী ধৈর্যহীন হয়ে পড়বে এবং কেউই তাদের থামাতে পারবে না।
খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যাই করুক না কেন, তারা যে কলঙ্কজনক ব্যর্থতা ভোগ করেছে তা কোনোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবে না। আর ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাবি ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজার নৃশংসতা বন্ধ না হলে ‘আরেকটি শকওয়েভ’ আসবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইহুদি শাসকদের ‘ক্যানসারের টিউমার’ পুরোপুরি মুছে না ফেলা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট’র অভিযান চলবে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, চলমান যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হতে পারে।