হেডলাইন
◈ পদোন্নতি নিয়ে সোনালী ব্যাংকে কর্মী অসন্তোষ ◈ ইমরান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পার্লামেন্টে আবেদন শাহবাজের ◈ সৌদিতে নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে ◈ ‘যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করার মতো অস্ত্র রাশিয়ার আছে’ ◈ রমজানে আন্দোলন থেকে জনগণকে নিস্তার দিন, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী ◈ রিজেন্টের সাহেদের জামিন স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ ◈ লার্ন গিটার উইথ আসাদ’ স্কুলের ১০ বছর উদযাপন! ◈ আজ মহান স্বাধীনতা দিবস ◈ গ্রেফতারকৃত যুবদল সম্পাদক মুন্না বাসায় পরিদর্শনে যুবদল নেতৃবৃন্দ ◈ সালমান খানের নিরাপত্তায় যে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুলিশ ◈ ফেসবুকে দেশবাসীর কাছে যা চাইলেন আরাভ খান ◈ হাইকমান্ডের নজরদারিতে বিএনপির আরও ১১ কেন্দ্রীয় নেতা ◈ ধর্ষণের অভিযোগ ও মামলা, অস্ট্রেলিয়া থেকে যা বললেন শাকিবের আইনজীবী ◈ বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ◈ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে চরমোনাই পীরের নিন্দা ◈ এবার দুবাইয়ে আরাভ খানের খোঁজে পুলিশ ◈ এটিএমে টাকা ঢুকানোর সময় জাল নোট পরীক্ষা করার নির্দেশ ◈ সাজানো নির্বাচনি ফাঁদে আর পা দেবে না জনগণ: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশে যে নামে এনআইডি ছিল আরাভ খানের ◈ একতরফা নির্বাচন – সুপ্রিমকোর্ট বারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ!

For Advertisement

একান্ত বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি

৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫৩:৫৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ৫০ বছরের গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভর করে উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিস্তৃত সব বিষয় নিয়ে কাজ করছে।আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা এবং দুই দেশ ও এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি একমত হয়েছি।’

মঙ্গলবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সরকারপ্রধানই সহযোগিতা আর সমঝোতার ভিত্তিতে সুখী, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল দেশ গড়ার কথা বলেন।

ভারত সফররত শেখ হাসিনা দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদি তাকে স্বাগত জানান। প্রথমে দুই নেতা একান্ত বৈঠক করেন। পরে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো গুরুত্ব পায় আলোচ্যসূচিতে। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ও ভারত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় দুই দেশ অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গতি সঞ্চার করার ক্ষেত্রে মোদি জির দূরদর্শী নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশী ভারত। প্রতিবেশীদের মধ্যে কূটনীতির ক্ষেত্রে দুদেশের সম্পর্ক রোল মডেল।’

তিনি বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি আরেক দফায় ফলপ্রসূ আলোচনা শেষ করেছি, যার ফল আমাদের দুদেশের জনগণের উপকার বয়ে আনবে। নিবিড় বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদ্দীপনা নিয়ে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার বিষয়ে তারা জোর দিয়েছেন আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের আদর্শকে জীবন্ত রেখে এই ধরনের শক্তিকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা জরুরি, যারা আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত করতে চায়।’

মোদি বলেন, এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার বাংলাদেশ। এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে দ্বিপক্ষীয় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) করার আলোচনা দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করতে চান তারা।

এ সময় দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ভারত সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় ‍উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। মানুষে মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রে অব্যাহত উন্নতি হচ্ছে।গত কয়েক বছরে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি বহু দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি।’

মোদি বলেন, ‘কোভিড মহামারি ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া এবং আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা দরকার।’

দুই দেশের সহযোগিতা নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত করার প্রসঙ্গ ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা বিস্তৃত করেছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করছি এবং আমরা আলোচনা করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে শক্তি আমাদের শত্রু, তাদের যেন আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ও পারমাণবিক খাতে সহযোগিতা বিস্তৃত করার আলোচনা আমরা করেছি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন করার বিষয়েও আলোচনা চলমান আছে।’

গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং প্রথমবারের মতো মৈত্রী দিবস উদযাপনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’

For Advertisement

পূর্বাকাশ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: