For Advertisement
দেশে পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দে জয়া!

কেমন ঈদ কাটালেন এবার? প্রশ্ন করতেই হাস্যোজ্জ্বল ভাবে জানালেন,পরিবার-পরিজন ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে এ বছর দুর্দান্ত ঈদ কাটিয়েছি। এছাড়াও এবার গোটা রমজান মাস-জুড়ে এক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। রমজানে দেশে থাকায় বহু দুস্থদের ইফতার করিয়েছি। এছাড়াও পথবাসীদের হাতে তুলে দিয়েছি নতুন পোশাক যা এই ঈদে আমাকে বাড়তি আনন্দ যুগিয়েছে।
ঈদে দেশে না বিদেশে কোনটায় আনন্দ বেশি-
অকপটে জানালেন-নিজের দেশের বাইরে তাঁর ঈদ পালন করার কথা ভাবতেই পারিনা। কাজের শত ব্যস্ততার ফাঁকে ঈদের সময় বাংলাদেশেই থাকি।বাংলাদেশের বাইরে একবার কলকাতায় ঈদ পালন করেছিলাম। সেই নিয়ে এক মন খারাপের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি একবার কলকাতায় ঈদ করতে গিয়ে কেঁদেছিলাম। মিষ্টি পোলাও, মাটন খেয়ে কেঁদেছিলাম। ফ্রিজ খুলে বাসি পরেজ খেতে হয়েছিল আমাকে। আমি ওই ঈদটা নিতে পারব না। এবার ঈদ করছি, ভবিষ্যতে দেশের বাইরে ঈদ করার ইচ্ছে নেই।
ঈদের প্রস্তুতি কেমন ছিল-
কলকাতায় যেমন দুর্গা পুজো উপলক্ষে অনেক রাত অবধি দোকান খোলা থাকে, আমাদের ঢাকাতেও ঈদের জন্য রাত তিনটেও কেনাকাটার জন্য সব দোকান খোলা। এ ক’দিন রোজ রাত দশটার পর কেনাকাটা করতে গিয়েছি। ঈদ মানেই দেওয়া-নেওয়ার পালা। প্রচুর উপহার যেমন পাই, তেমনই প্রচুর উপহার কিনি। টাকা খরচ করতে করতে আমার ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যায়। তবে এই দেওয়ার মধ্যেই যত আনন্দ!
বাড়িতে বিশেষ কোনো আয়োজন ছিল?
সোমবার আমার বোনের বাড়ি চাঁদ রাতে মেয়েদের দল একসঙ্গে হব। এই রাত হাতে মেহেদি পরার। নিজেকে সুন্দর করে তোলার। চাঁদের আলোয় হারিয়ে যাওয়ার। এই মেহেদী পরতে পরতেই শুরু হবে রান্নার গল্প। হয়তো বোনের রান্নাঘর থেকে ভেসে আসবে সেমাইয়ের পায়েসের গন্ধ। এই গন্ধ আমার জীবনে ঈদের বার্তা নিয়ে আসে। মনে পড়ে, মা এ ভাবেই বাড়িতে জাফরান দিয়ে সেমাইয়ের পায়েস রান্না করতো।
আগামী সাত দিন ধরে চলবে উৎসব। দাওয়াত। সাজ আর খুশির হাওয়া। এই ইদে ছোটরা বড়দের সালাম করবেই। আর বড়রা ছোটদের হাতে ‘ইদি’ হিসেবে নতুন টাকার নোট দেবেন। এটা দিতেই হয়। ছোটবেলায় আমরা বাড়ির বড়দের সালাম করতে ছুটতাম। টাকা পাব, এই আনন্দে। এখন আমাকে টাকা দিতে হয়। ব্যাঙ্ক থেকে পঞ্চাশ টাকা, একশো টাকা, পাঁচশো টাকার কড়কড়ে নোট তুলে রেখে দিতে হবে সঙ্গে। কে কখন সালাম করবে, বলা তো যায় না। এখন তো দেখি ছেলেমেয়েরা সব কুড়ি-তিরিশ হাজার টাকা করে পায়। আমাদের ছোটবেলায় আমরাও পাঁচ-ছ’হাজার টাকা পেতাম। তাতেই কী মজা হত।
এই ঈদ শুধু নিজেদের উৎসব নয়। চারপাশে যে সব মানুষ আমাদের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না, তাঁদের অর্থ বা সম্পত্তির একটি ছোট অংশ ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই ঈদের সার্থকতা। একে আমরা জাকাত বলি। এই উৎসবে আমাদের প্রত্যেকের অর্থ বা সম্পত্তির কিছু অংশ ‘জাকাত’ হিসেবে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই হয়। এই রমজান মাস জুড়ে আমি যেমন রাস্তায় আশ্রিত প্রচুর মানুষকে ঠিক করে ইফতার করালাম। পোশাক দিলাম। এই দেওয়ার আনন্দই আলাদা। প্রত্যেক মুসলমান এই ঈদে মসজিদে নমাজ পড়তে যাবে। ইসলামে কিন্তু ধনী আর দরিদ্রকে কোথাও আলাদা করা হয় না। বলা হয়, রাজা আর ফকির এক মসজিদে একসঙ্গে নমাজ পড়ে। এক পাত থেকেই ইফতারের খাবার খায়। ঈদের ‘জামাত’ শেষে কোলাকুলি করে। এটাই আসল ঈদ। নমাজের পরে মসজিদের বাইরে লাইন দিয়ে অনেক মানুষ অপেক্ষা করেন, আর ছেলেরা নতুন পাঞ্জাবি থেকে নতুন টাকা বের করে তাঁদের দেন। অন্তরের আনন্দকে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই ঈদের অনুভব। ঈদের শান্তি।
ঈদের পরের ব্যস্ততা কি নিয়ে-
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২’-এ প্রদর্শিত হয়েছে আমার সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ছবির কেন্দ্রে কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনকথা। দুই বয়সের কবিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কবির স্ত্রীর ভূমিকায় । সদ্য ইরানি পরিচালকের ‘ফেরেশতা’র শ্যুটিং শেষ করেছি। এছাড়া বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়।
For Advertisement
পূর্বাকাশ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© purbakash 2021
-Developed by WebsXplore
Comments: