For Advertisement
ঈদের আগেই দিতে হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি, নচেৎ আসছে যুবদলের নতুন কমিটি!

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ কারণে আগে ঘর গুছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। মূল সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলের শূন্য পদগুলো পূরণের পাশাপাশি যেসব অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সেগুলোতে নতুন নেতৃত্ব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদলের পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটির প্রদান করা হয়েছে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুততার সাথে প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে সে প্রেক্ষিতেই যুবদলের আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হঠাৎই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সুপার ফাইভ নেতারা এ নিয়ে কয়েকটি বৈঠকও করেছেন। দলীয় ফোরামে জমা দেওয়া প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির কয়েকজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। এছাড়া প্রস্তাবিত কমিটিতে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকা ত্যাগী কয়েকজন নেতার নামও বাদ পড়েছে। পদক্রম বজায় রেখে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে যুবদলের প্রস্তাবিত সম্পূরক কমিটি (সম্পাদক, সহ-সম্পাদক ও সদস্য) রোজার মাসের মধ্যে দলীয় ফোরামে জমা দিতে চেয়েছিলেন শীর্ষ নেতারা।
এদিকে যুবদলের একটি অংশ চায় যাতে আহ্বায়ক কমিটি হয় ও পরে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।তবে এবার অঙ্গ সংগঠনগুলোতে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং থাকবে চমক। উল্লেখ্য যে দলের বৃহত্তর স্বার্থে সাবেক কয়েকজন বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাকে সতর্ক ও ক্ষমা করে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য যে- ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠন এর প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি এর মধ্যে কমিটি নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় পরবর্তীতে আর কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। দলের সর্বোচ্চ হাইকমান্ডও এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। তাই রোজার ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হলে, ঈদের পরপরই আসছে নতুন কমিটি।
দলীয় সর্বোচ্চ সূত্র থেকে জানা গেছে, এবার আহ্বায়ক কমিটি না দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার পক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারক ও সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান। তবে সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা তার নিকট আহ্বায়ক কমিটির দাবি জানিয়েছেন।
যুবদলের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সভাপতি পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান আলিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক কয়েকজন ছাত্র নেতা -সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ ,সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ওবায়দুল হক নাসির, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান, সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার প্রমুখ।
For Advertisement
পূর্বাকাশ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© purbakash 2021
-Developed by WebsXplore
Comments: