For Advertisement
যুবলীগ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি!

বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল মানবকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করায় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ওসির সমালোচনা করতে গিয়ে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার নিজ ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন।লাইভে এসে সুমন বলেন ‘আপনারা জানেন যে গতকালকে শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। সুমন বলেন, “আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্লোগান দেয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে।”
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এ লাইভ ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনা’র সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকে ২০২০ সালের ১০ মার্চ বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’ কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সামনে এনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন। এমনকি আওয়ামী যুবলীগের পদ থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিস্কারের কথাও ফেসবুকে লিখেন অনেকে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ভিডিও’র কমেন্ট সেকশনে অনেকেকে তার বক্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
সুপর্না ফারজনা লিখেন “আপনার অবস্থান পরিষ্কার করুন। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে আপনার সমস্যা কেন?”
মাহমুদুল হক সৈকত লিখেছেন, “আপনি আওয়ামী লীগের কোন সংগঠনে থাকার অধিকার রাখে না। আপনি দলে এসে, পদ নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। আশা করি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আপনার মতো ফালতু লোকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।”
আতিকুর রহমান দর্জি লিখেন “স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্যবহৃত ‘জয় বাংলা’ হবে জাতীয় স্লোগান এমন রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সকল অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাষ্ট্রের সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ সবাইকে অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে গেজেট নোটিফিকেশন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি শেষে জয় বাংলা বলতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টদেরকে পরিপত্র জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা পালন হয়েছে কি না সে বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্টার জেনারেল বরাবর দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান চেয়ে ২০১৭ সালের রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মতামত তুলে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আরও ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবী তাদের মতামত তুলে ধরেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
For Advertisement
পূর্বাকাশ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© purbakash 2021
-Developed by WebsXplore
Comments: